Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সোনালী আঁশের সোনার দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ

সোনালী আঁশের সোনার দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ

কৃষিবিদ মো: মুকুল মিয়া
­­­­­­­­­­­­­­“পাটের গবেষণার উপর বিশেষ গুরুত্বারোপ এবং পাট উৎপাদনের হার বৃদ্ধি করা হলে জাতীয় অর্থনীতিতে পাট সম্পদ সঠিক ভ‚মিকা পালন করতে পারে”- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সোনালী আঁশের সোনার দেশ, পাট পণ্যের বাংলাদেশ। বিশ্বের বুকে বাংলাদেশ পাট থেকে উৎপাদিত সোনালী আঁশের দেশ হিসেবে পরিচিত। পাট বাংলাদেশের প্রধান অর্থকরী ফসল। সারা বিশ্বে আঁশ উৎপাদনকারী ফসল হিসেবে তুলার পরেই পাট ও পাট জাতীয় আঁশ ফসল দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ৪৫ লক্ষ কৃষক পাট চাষাবাদ করছে। এ দেশে আশির দশকে প্রায় ৮-১০ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রায় ৬০-৬৫ লক্ষ বেল পাট উৎপাদিত হতো। এরপর নব্বই এর দশকে তা হ্রাস পেয়ে প্রায় ৪৫ লক্ষ বেলে নেমে যায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে পরবর্তিতে ২০১০ সাল হতে  ৭-৮ লক্ষ হেক্টর জমিতে প্রায় ৮০-৯০ লক্ষ বেল পাট উৎপাদিত হচ্ছে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর মতে, দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৪ শতাংশ অর্থাৎ ১ (এক) বিলিয়ন ডলার  আসে পাট ও পাটজাতীয় পণ্য থেকে। ঢাকায় ১৯০৪ সালে পাটের উপর প্রথম গবেষণা শুরু করেন স্যার এস. ফিনলো নামের একজন ভদ্রলোক। এরপর ১৯৩৬ সালে সমগ্র ভারতীয় কেন্দ্রীয় পাট পরিষদের আওতায় রাজধানী ঢাকার শেরই বাংলানগরে অর্থাৎ বর্তমান মহান জাতীয় সংসদের দক্ষিণ পার্শ্বে স্থাপিত হয় পাটের কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরি এবং এর পর থেকেই শুরু হয় পাটের কৃষি গবেষণা কার্যক্রম। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তের পর গঠিত হয় পাকিস্তান কেন্দ্রীয় পাট পরিষদ। এরপর ১৯৫১ সালে পাটের কৃষি গবেষণা ল্যাবরেটরির নাম পরিবর্তিত হয়ে বর্তমান স্থানে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। সে সময় পাটের শুধুমাত্র কৃষি গবেষণা কার্যক্রম চালু ছিল এবং পরবর্তীতে ১৯৬৩ সালে পাটের শিল্প গবেষণা কার্যক্রম চালু হয় যা বর্তমানে পাটের কারিগরি গবেষণা হিসেবে চলমান আছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি তারিখে বাঙালি জাতির অহংকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহান জাতীয় সংসদে পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন’ ১৯৭৪ পাস করেন এবং এই আইন পাসের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করেন আজকের এই কৃষি গবেষণার সবচেয়ে পুরাতন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই)। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৭৬ সালে বিজেআরআই এ স্থাপিত হয় পাট বীজ উইং। এরপর পাটের ভিত্তিবীজ, মানঘোষিত বীজ উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে কৃষকের নিকট উন্নতমানের বীজ সরবরাহের গবেষণা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালু হয়। সফলতার সাথে বিজেআরআই সারাদেশে কৃষকদের নিকট   মৌসুমের শুরুতেই ভালো মানের পাটবীজ সরবরাহ করতে পারত। ১৯৭৫ সালে বিশ্বাসঘাতক হায়েনাদের হাতে জাতির পিতার শাহাদাৎবরণের পর পাট গবেষণায় নেমে আসে অনাকাক্সিক্ষত পরিবর্তন। ফলশ্রুতিতে, অন্যান্য ফসলের ন্যায় পাটের বীজ উৎপাদন ও কৃষকপর্যায়ে দেওয়ার জন্য ১৯৮৮ সালে বিজ্ঞানসম্মত বিচার বিবেচনা না করেই বিজেআরআই থেকে জনবল, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদসহ পাটবীজ উইংটি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের নিকট হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু পাট এমন একটি উদ্ভিদ যার আঁশ বা কাঠি কোনটিই খাদ্যোপযোগী নয়। এ ছাড়া পাটের বীজ বিশেষ ব্যবস্থাপনায় প্রক্রিয়াজাতপূর্বক সংরক্ষণ করা না হলে পরবর্তী বছরেই তার জীবনীশক্তি বা অঙ্কুরোদগম ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। যার ফলে বিএডিসি কর্তৃক অন্যান্য খাদ্য ফসলের ন্যায় পাটের বীজ সংরক্ষণ না করায় বিদেশ থেকে বীজ আমদানির উপর  কৃষক নির্ভরশীল হয়ে পড়ে যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।


পাট এমন একটি উদ্ভিদ যার পুরো অংশটাই ব্যবহার্য। এদেশে রয়েছে দেশী ও তোষা পাট এবং পাটজাতীয় আঁশ ফসল  কেনাফ ও মেস্তা। এদের মধ্যে গুণসমৃদ্ধ আঁশ উৎপাদনে শতকরা ৮০ ভাগ তোষা পাট, ১০ ভাগ দেশি পাট এবং ১০ ভাগ কেনা-মেস্তার চাষ হয়ে থাকে। আঁশের  এসব গাছ বীজ বপনের পর ১০০-১২০ দিন বয়সে আঁশ সংগ্রহের জন্য হার্ভেস্ট বা কর্তন করার উপযোগী হয়। এক হেক্টর জমিতে চাষকৃত পাট ফসল জীবজগতের জন্য অপরিহার্য প্রায়    ১৪.০-১৪.৫ মে.টন অক্সিজেন (O2) বাতাসে অবমুক্ত করে এবং সমপরিমাণ গ্রিনহাউজ গ্যাস কার্বন ডাইঅক্সাইড (CO2) পরিবেশ থেকে শোষণ করে বাতাসকে পরিশুদ্ধ করে এবং জীবজগতকে নির্মল রাখতে সহায়তা করে। একই সাথে পাট গাছের সবুজ পাতা এবং পাট কর্তনের পর জমিতে থেকে যাওয়া পাটের মূলসমূহ পচে হেক্টরপ্রতি প্রায় ৮ মে.টন জৈব পদার্থ মাটিতে যোগ করে মাটির চাষাবাদ উপযোগী স্বাস্থ্য সংরক্ষণ করাসহ উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করে । পাট গাছের প্রধান মূল হচ্ছে প্রাইমারি ধরনের যা মাটির গভীরে প্রবেশ করে খাদ্য উপাদান সংগ্রহ করে, এর ফলে মাটির উপরিভাগ বা চাষাবাদ উপযোগী স্তরের বিভিন্ন উপাদানের তেমন একটা ঘাটতি হয় না। বরং মাটির নিচ থেকে কিছু উপাদান উপরের স্তরে নিয়ে আসে যা ছোট মূল বা সেকেন্ডারি মূল বিশিষ্ট অন্যান্য ফসলের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। মাটির অভ্যন্তরে সৃষ্ট প্লাউপ্যান ভেঙ্গে মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে থাকে। পাট একটি পরিবেশবান্ধব আঁশ ফসল যা মাটির ক্ষয়রোধ করে, পরিবেশকে সমৃদ্ধ রাখে এবং মাটির স্বাস্থ্য সমৃদ্ধ ও সংরক্ষণ করে।


সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কৃষি দর্শনের সাফল্য যা সমগ্র বিশ্বের জন্য আজ অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে প্রতীয়মান এবং ব্যাপকহারে সমাদৃত। কৃষি পরিসংখ্যানের তথ্যানুসারে গত ৫ দশকে পাটের ফলন ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে এবং মূল্যের দিক থেকে বর্তমানে কাঁচা পাটের ভালো সময় যাচ্ছে। চাষাবাদযোগ্য জমির পরিমাণ ক্রমে কমে যাচ্ছে তবে, সে তুলনায় পাটের চাষ ও উৎপাদন বাড়ছে। কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্যানুসারে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পাটের আবাদ লক্ষ্যমাত্রা বিশ্লেষণে ছিল দেশি, তোষা ও কেনাফ-মেস্তার জন্য জমি ০.৩২, ৬.২০, ০.৪৭ লাখ হেক্টর, যথাক্রমে; উৎপাদন ২.৮৪, ৭৩.৩৫, ৩.৮৯ লাখ মেট্রিক টন, যথাক্রমে; ফলন ৮.৮৮, ১১.৮৩, ৮.২৮ মেট্রিক টন/হেক্টর, যথাক্রমে; এবং অর্জিত মাত্রা বিশ্লেষণে পাওয়া গেছে জমি ০.৩২, ৫.৮৬, ০.৪৭ লাখ হেক্টর যথাক্রমে; উৎপাদন ২.৪৪, ৬২.৪৮, ৩.২৫ লাখ মেট্রিক টন, যথাক্রমে; ফলন ৭.৬৪, ১০.৬৬, ৬.৯২ মেট্রিক টন/হেক্টর, যথাক্রমে। পাট ও পাটজাতীয় আঁশ ফসলের জন্য মোট লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে বিশ্লেষণে ছিল জমি ৬.৯৯ লাখ হেক্টর, উৎপাদন: ৮০.০৮ লাখ মেট্রিক টন এবং ফলন ১১.৪৬মেট্রিক টন/হেক্টর; আর অর্জিত হিসেবে পাওয়া গেছে জমি ৬.৬৫ লাখ হেক্টর, উৎপাদন: ৬৮.১৮ লাখ মেট্রিক টন এবং ফলন ১০.২৫ মেট্রিক টন/হেক্টর। এটা কেবলমাত্র সম্ভব হয়েছে দেশের বুদ্ধিসম্পন্ন ও কর্মঠ কৃষক, মেধাবী কৃষি বিজ্ঞানী এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের নিরলস প্রচেষ্টার কারণেই।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় উচ্চফলনশীল পাটের জাত উদ্ভাবন এবং দেশের পতিত জমিসহ প্রতিটি জায়গায় পাটসহ কৃষি চাষাবাদের লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ভুক্ত বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মেধাবী ও কর্মঠ বিজ্ঞানীগণ নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং ইতোমধ্যে ভারত থেকে আমাদানিকৃত তোষা পাটের একটি বহিরাগত জাত জেআরও-৫২৪ এবং বিজেআরআই কর্তৃক উদ্ভাবিত তোষা পাটের অন্যান্য জাতের চেয়ে অধিক ফলনশীল একটি তোষা পাটের জাত বিজেআরআই তোষা পাট ৮ (রবি-১) গত ২০১৮ সালে উদ্ভাবন করতে সক্ষম হয়েছে যা গত বছর (২০১৯) কৃষক মাঠে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছে। মাননীয় কৃষি মন্ত্রী মহোদয়ের নেতৃত্বে ও বিচক্ষণ ব্যস্থাপনায় সম্প্রতি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় এবং কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথভাবে পাট বীজ উৎপাদন ও স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে একটি সমন্বিত প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছেন যা দেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হবে বলে আশা করি। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যানুসারে, বর্তমানে বাংলাদেশ পাট উৎপাদন ও রপ্তানীতে বিশ্বের বুকে প্রথম স্থান দখল করেছে। এছাড়া, কাঁচা পাট রপ্তানিতে দীর্ঘদিন থেকেই বাংলাদেশ শীর্ষ স্থানে রয়েছে। তারপরেও বিশ্ব বাজারে অতি দ্রæত বর্ধনশীল পরিবেশবান্ধব পাটপণ্যের চাহিদার পাশাপাশি রপ্তানিতেও যাতে শীর্ষ স্থান দখল করতে পারে সে জন্য মূল্য সংযোজিত প্রক্রিয়াজাতকৃত পাটপণ্য তৈরিসহ রপ্তানিতে আমাদের আরও সক্ষমতা বাড়াতে হবে। যা আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ লালিত স্বপ্ন ছিল এবং পাটের কথা তিনি তার প্রণীত তৎকালীন স্বৈরাচারী পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে পরিচালিত আন্দোলনের (৬ ও ১১ দফা) ইশতেহারে বিশেষ গুরুত্ব সহকারে আলোকপাত করেছিলেন। তাই আজ সময় এসেছে পাট ও পাটপণ্যের বহুমুখী ব্যবহার বাড়িয়ে তার এই লালিত স্বপ্নকে বাস্তব রূপ দান করার; পাটের সুদিন ফিরিয়ে আনতে বিজেআরআই নিরলসভাবে গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। পাটের কৃষি বিষয়ক গবেষণা ও উন্নয়নে উৎকর্ষতা অর্জনই হলো বিজেআরআই এর ভিশন। আর পাট ও পাটজাতীয় আঁশ ফসলের উচ্চফলনশীল জাত এবং টেকসই চাষাবাদ পদ্ধতি উদ্ভাবন, উন্নয়ন, হস্তান্তরের মাধ্যমে কৃষক ও সংশ্লিষ্ট উপকারভোগীদের উপার্জন বৃদ্ধি, দারিদ্র্য বিমোচন, আত্মসামাজিক উন্নয়ন এবং পরিবেশের উন্নয়ন করা হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য।


এ পর্যন্ত বিজেআরআই কর্তৃক সকল বিভাগের সহযোগিতায় প্রজনন বিভাগের মাধ্যমে দেশি, তোষা পাট, কেনাফ ও মেস্তা ফসলের মোট ৫২টি জাত উদ্ভাবিত হয়েছে। দেশি পাটের ৩টি শাকের জাত রয়েছে যা অনেক পুষ্টিসমৃদ্ধ এবং বহুল ব্যবহৃত। এছাড়া, দেশি পাটের একটি জাত জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ছাড়করণের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে যা প্রায় ১২.০ ডিএস/মি. মাত্রার লবণ সহ্য করতে পারবে, খুব শীঘ্রই তা দক্ষিণাঞ্চলে চাষের জন্য অবমুক্ত করা হবে। পাশাপাশি লবণ, জলাবদ্ধতা ও খরা সহিষ্ণু তোষা পাটের জাতও উদ্ভাবনের ব্যাপক চেষ্টা চলমান রয়েছে। পাটের সোনালী আঁশ ও রূপালী কাঠি দুইএরই রয়েছে অপার সম্ভাবনা। পাটের আঁশ বিভিন্ন পণ্য যেমন পোশাক, জিওটেক্সটাইল, বস্তা, রশি, কাগজ তৈরির পাল্প, বিভিন্ন সৌখিন জিনিসপত্র ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। পাটকাঠিরও রয়েছে অনেক ব্যবহার যেমন, পাটকাঠি পুড়িয়ে তৈরিকৃত কার্বন বা চারকোল জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয়। এই চারকোল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন চায়না, ব্রাজিল, তাইওয়ান ইত্যাদিতে রপ্তানি হয় এবং সেখানে এর সাথে লেবুর রস বা ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড মিশিয়ে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে কম্পিউটারের প্রিন্টারের কালি, ফটোকপিয়ারের কালি, কসমেটিক্সের উপাদান সামগ্রী তৈরি করে যা আমরা অনেক চড়া দামে আমদানি করে থাকি। যদি আমাদের দেশে এই প্রযুক্তিসমূহ ব্যবহার করা যায় তাহলে পাটকাঠির চারকোল থেকে এই মূল্যবান কালি উৎপাদনের মাধ্যমে অনেক লাভবান হওয়া সম্ভব। এ ছাড়াও, পাটকাঠি দিয়ে ঘরের বেড়া দেয়া যায়, বিদেশে বিশেষ প্রক্রিয়ায় উন্নতমানের গাড়ির ডেস্কবোর্ড তৈরি করা হয় যা একেবারে পরিবেশবান্ধব ও টেকসই সম্পন্ন। তাই আসুন আমরা পরিবেশবান্ধব এই পাট ফসল চাষাবাদ করি, পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের সোনালি ব্যাগসহ পাট পণ্যসমূহ ব্যবহারে এগিয়ে আসি। সবুজ পরিবেশ গড়ে তুলি। জীবজগৎকে সংরক্ষণ করি।

সাইন্টিফিক অফিসার (উদ্ভিদ প্রজনন), প্রজনন বিভাগ, বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, মানিকমিয়া এভিনিউ, ই-মেইল: mukulbjribreeding@gmail.com মোবাইল: ০১৫২০০৮৩০৮৮


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon